Posts

Showing posts from June, 2017

প্রেম ও ভালোবাসা / ড. মোহাম্মদ আমীন

যা প্রেম, তা-ই ভালোবাসা এবং যা ভালোবাসা তা-ই প্রেম। তাই প্রেম ও ভালোবাসা শব্দের অর্থগত কিংবা প্রায়োগিক কোনো পার্থক্য নেই। আমার মেয়ে আমার প্রেম। আমার মেয়ে আমার ভালোবাসা। ভালোবাসা বা প্রেম যৌগিক বা মিশ্র ক্রিয়ায় পরিণত হলে তা কামময, কামার্ত বা যৌনতাময় হয়ে যায়। যেমন : প্রেম করা, প্রেমে পড়া, ভালোবাসা করা, ভালোবাসায় পড়া প্রভৃতি। (১) আমার ঈশ্বর আমার প্রেম, (২) আমার ঈশ্বার আমার ভালোবাসা, (৩) আমার মা আমার প্রেম, (৪) আমার মা আমার ভালোবাসা। চারটি বাক্যে ব্যবহৃত প্রেম ও ভালোবাসা শব্দদ্বয়ের অর্থ অভিন্ন এবং প্রায়োগিক বিবেচনাতেও কোনো দ্বিধা বা আপত্তি আসে না। যখন প্রেম ও ভালোবাসার সঙ্গে ক্রিয়া যুক্ত হয়ে পড়ে তখন প্রেম ও ভালোবাসায় কাম বা দৈহিক আবেশ এসে পড়ে এবং প্রেম ও ভালোবাসা শব্দের ব্যবহারের ক্ষেত্র কামের কারণে সীমিত ও স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। কারণ সবার সঙ্গে কাম করা যায় না কিন্তু সবার সঙ্গে কামীহন প্রীতি করা যায়। তাই যাদের সঙ্গে কাম করা যায় না, তাদের প্রতি স্নেহপ্রীতি বা আদর সোহাগ বোঝাতে ক্রিয়াহীন প্রেম বা ক্রিয়াহীন ভালোবাসা দুটোই প্রয়োগ করা যায়। “(৪) আমার মা আমার প্রেম এবং আমার মা

ইদ ও ঈদ বানান নিয়ে বিতর্ক/ ড. মোহাম্মদ আমীন

(সংক্ষেপিত) বাংলায় ধ্বনিমূলগত দীর্ঘস্বর নেই। হ্রস্ব ও দীর্ঘ উভয় স্বরের উচ্চারণ অভিন্ন। তাছাড়া এক ভাষার শব্দকে অন্য ভাষার বর্ণ দিয়ে অবিকল উচ্চারণানুগ শব্দে প্রকাশ করার প্রয়াস হাস্যকর। পৃথিবীর কোনো ভাষাতে এটি সম্ভব নয় এবং ভাষার স্বকীয় মর্যাদা বজায় রাখার জন্য এমনটি করাও হয় না। বিদেশি ভাষার কোনো শব্দ বাংলায় এলে তাকে বাংলা ভাষায় বিদ্যমান বর্ণ-চিহ্ন দিয়ে যতটুক পারা যায় কেবল ততটুকুই অতিথি ভাষার স্বকীয়তা অক্ষুণ্ন রেখে প্রতিপাদন করা হয়। বিদেশি কোনো শব্দকে বাংলায় এনে ওই ভাষার অনুরূপতা বজায় রাখার জন্য নিজ ভাষার স্বকীয়তা, ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্যরাশিকে বিসর্জন দেওয়া অত্মমর্যাদা বিলিয়ে দেওয়ার তুল্য। বাঙালি ছাড়া আর কেউ, মাতৃভাষায় আগত অতিথি-শব্দকে মর্যাদা দিতে গিয়ে নিজের ভাষার সম্মান ও চরিত্র বিসর্জন দিয়ে দেয় না। মাতৃভাষার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ভাষা আর কী হতে পারে! অবশ্য যে দেশের অনেকে, বিয়েশাদিসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের চিঠিপত্রে এখনও ইংরেজি ভাষার ব্যবহারকে মর্যাদাময় গণ্য করেন, সে দেশের মানুষের মাতৃভাষা প্রেম, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, স্বকীয় দ্যোতনা ও আত্মসম্মানবোধ কত ঠুনকো তা সহজে অনুমেয়।  বাংলায় ‘ঈদ’ ব

ও এবং ও-কার / ড. মোহাম্মদ আমীন

‘ও-কার’ না বসালে অর্থগত সমস্যা কিংবা উচ্চারণগত জটিলতার আশঙ্কা থাকলে কেবল সে সকল শব্দের শেষে ও-কার বসে। অন্যত্র শব্দের শেষ বর্ণে ও-কার বসানো মানে শব্দের অর্থ ও বাক্যের বক্তব্য প্রকাশে জটিলতা সৃষ্টি। প্রমিত বাংলা বানানে এমনটি করা বিধেয় নয়। (১) ‘কাল সন্ধ্যায় রহিম একটি কালো ব্যাগ হাতে আল এর   উপর   দিয়ে আলো হাতে দৌঁড়ে আসছিল’।   (২) আন্দাজে বানানো বানান দিয়ে বাক্য কর না।   এখানে প্রথম বাক্যে ‘কাল’ শব্দে গতকাল, ‘কালো’ শব্দে কৃষ্ণ রং, ‘আল’ শব্দে জমির আইল এবং ‘আলো’ দিয়ে রোশনাই বুঝানো হয়েছে।   দ্বিতীয় বাক্যে ‘বানান’ শব্দ দিয়ে শব্দের বানান এবং ‘বানানো’ শব্দে তৈরী বুঝানো হয়েছে।   বাকি অংশ:   

অসমাপিকা ও সমাপিকা ক্রিয়া / ড. মোহাম্মদ আমীন

শুদ্ধ বানান চর্চা ক্রিয়াপদে কখন ‘উ’ এবং কখন ‘ও’ হবে? এটি নিয়ে অনেকে দোটানায় পড়ে যান। উঠে/ওঠে ? উপরে/ ওপরে ? উঠা/ওঠা, বুঝে/বোঝে, শুনে/শোনে, ফুটে/ ফোটে প্রভৃতি শব্দের বানানে কখনও ‘উ’ হবে এবং কখন ‘ও’ হবে তা নিয়ে সংশয় যেন লেগেই থাকে। অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান, কোন বানানটি শুদ্ধ হবে। সাধারণত বাংলায় সমাপিকা ক্রিয়ার ক্ষেত্রে ক্রিয়া পদের আদ্যস্বরের উচ্চারণ বিবৃত হয়। অসমাপিকা ক্রিয়ায় ক্ষেত্রে তা হয় সংবৃত। ১. করিম  চাঁদ দেখে।  এই বাক্যে ‘দেখে’ সমাপিকা ক্রিয়া। অর্থাৎ ‘দেখে’ পদটি দিয়ে বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ হয়েছে। ২. করিম চাঁদ দেখে ঘুমাবে। এই বাক্যে ‘ঘুমাবে’ পদটি সমাপিকা ক্রিয়া কিন্তু দেখে পদটি অসমাপিকা ক্রিয়। কারণ, ‘ঘুমাবে’ পদটি দিয়ে বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ প্রকাশ করা হয়েছে। ৩. ছেলেটি টিভি দেখে খাবার খেয়ে বই পড়ে ঘুমাবে। এই বাক্যে ক্রিয়াপদ ৪টি – ‘দেখে’, ‘খেয়ে’, ‘পড়ে’, ‘ঘুমাবে’। কিন্তু সমাপিকা ক্রিয়া একটিই - ‘ঘুমাবে’। অর্থাৎ ‘ঘুমাবে’ না বলা পর্যন্ত বাক্য সম্পূর্ণ হচ্ছিলো না। বাকি ৩টি ক্রিয়াপদ অসমাপিকা ক্রিয়া।  ১ নম্বর উদাহরণে  ‘দেখে’ পদটি যেহেতু সমাপিকা ক্রিয়া, তাই পদটির আদ্যস্বরের উচ্চারণ হবে বিবৃত

পড়া ও পরা / ড. মোহাম্মদ আমীন

' পড়া ' ও  ‘পরা ' ও শব্দের প্রয়োগ নিয়ে সংশয় দেখা দিলে মনে মনে ভাবুন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন ' ওটা পরিধানযোগ্য কি না ? যদি পরিধানযোগ্য ( wear ) হয় তাহলে লিখুন ' পরা '; অন্যথায় লিখুন ' পড়া ' । wear  সম্পর্কিত হলে পরা লিখুন, নইলে পড়া। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত নিচে দেওযা হলো :     Read বা পাঠ করা অর্থে ‘ পড়া’ হয়।। যেমন  চিঠি পড়া , বই পড়া, পত্রিকা পড়া , নামাজ পড়া, দোয়াদরুদ পড়া, চটি (পুস্তিকা) পড়া,  কলেজে পড়া, মাদ্রাসায় পড়া, মক্তবে পড়া, কোরআন পড়া, গীতা পড়া  প্রভৃতি।   Fall বা পতন ঘটা বা পতন হওয়া অর্থে ‘ পড়া’ লেখা হয় । যেমন : বাজ পড়া, গাছ পড়া, বৃষ্টি পড়া, আম পড়া, উল্কা পড়া, প্রভৃতি।   যৌগিক ও মিশ্র   বা হার্দিক বা মনোগত ক্রিয়াপদে ‘ পড়া’ হয়। যেম : প্রেমে পড়া, বসে পড়া, শুয়ে পড়া, ঠাণ্ডা পড়া, ভেঙে পড়া, মনে পড়া, রোগে পড়া, ঘুমিয়ে পড়া, গরম পড়া, নেমে পড়া, নেশায় পড়া, ধ্বসে পড়া, গায়ে পড়া, বিপদে পড়া, নেমে পড়া, চিন্তায় পড়া, সংকটে পড়া প্রভৃতি।     বাকি অংশ

উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য

উপলক্ষ্য  = উপ + লক্ষ্য; লক্ষ্য এর উপ বা সহকারী যে; আশ্রয়, অবলম্বন, প্রয়োজন, উদ্দেশ্য, অভিপ্রায়, ব্যাপদেশ, ছল, ছুতা, occasion বা আয়োজন অর্থে প্রচলিত।  বাংলা একাডেমির সাম্প্রতিকতম অভিধানে 'উপলক্ষ' শব্দের কোনো অস্তিত্ব নেই; বরং স্বাধীন ভুক্তি হিসেবে  'উপলক্ষ্য' শব্দটিকে  অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।  উদ্দেশ্য   ও  উদ্দেশ শব্দের মতো লক্ষ, লক্ষ্য,   উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য  শব্দের বানান   ও  প্রয়োগ নিয়েও বিভ্রাট দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে ‘চক্ষু বা মনশ্চক্ষুর’ দ্বারা কোনও কোনও বস্তু বা বিষয়কে নিজের মধ্যে নেওয়া বা লওয়ার কাজটি দিশাগ্রস্ত থাকে যাতে, তাকে লক্ষ বলা হয়। এ লক্ষ যাতে থাকে সেটিই হচ্ছে লক্ষ্য। কলিম খান   ও  রবি  চক্রবর্তীর মতে, বাংলায় দর্শন করাকে কিছুটা পরিবর্তন করে যে যুক্তিতে ‘ দেখা’ করা করে নেওয়া হয়েছে, একই যুক্তিতে লক্ষ করাকে ‘লখ’ বা ‘লখি’ করে নেওয়া হয়েছে। এই ‘খ’ প্রকৃতপক্ষে ‘ক্ষ’-এর একটি রূপ। দর্শন দিশগ্রস্ত হয়ে গেলে তাকে ‘ দেক্ষা’ বলাই যুক্তিসঙ্গত। সে সুবাদে চক্ষু বা মনশ্চক্ষু মারফত নিয়ে আসা হল ‘লক্ষ’; এবং সে লক্ষ করা বস্তু বা বিষয়টি বাস্তবে যেখানে রয়েছে, সেটি লক্ষ্য। সংগতক

ঘরে ঘরে? ড. মোহাম্মদ আমীন

ঘরে ঘরে?  এটি একটি কাহিনিমূলক প্রবাদ। অন্তর্নিহিত অর্থ শিশুমনের কৌতুহল, অবাক, রহস্যময়, বিস্ময়কর, কৌতুহলোদ্দীপক। একদিন কয়েক বাড়ির মেয়েরা বসে পাড়া এলাকায় কার বিয়ে কার সঙ্গে হয়েছে সে নিয়ে আলাপ করছিল। এ সময় শিশু তাপস কৌতুলহ নিয়ে তার মাকে বলল, মা তোমার বিয়ে কার সঙ্গে হয়েছে? মা লজ্জায় চুপ করে গেল। অন্য এক মহিলা তাপসকে কোলে নিয়ে বলল, তোর বাবার সঙ্গে তোর মায়ের বিয়ে হয়েছে।  শিশু তাপস বিস্মিত হইয়া বলল, ঘরে ঘরে? সূত্র : ড. মোহাম্মদ আমীন, বাংলা ভাষার প্রবাদ-প্রবচন। ড. মোহাম্মদ আমীন “এখানে মুরগি ও গোরুর দুধ পাওয়া যায়।” অনেকে বলেন, বাক্যটি অশুদ্ধ, কারণ মুরগি দুধ দেয় না। মুরগির দুধের সঙ্গে বাক্যটির সম্পর্ক কী, তা আমার জানা নেই। বাক্যটিতে তো বলা হয়নি, “এখানে মুরগির দুধ ও গোরুর দুধ পাওয়া যায়।” “এখানে মুরগি ও গোরুর দুধ পাওয়া যায়।”- বাক্যটির সাধারণ অংশগুলো বাক্যের পৃথক বিশেষ্য থেকে আলাদা করে নিলে বাক্যটি হয় : এখানে [(মুরগি) ও (গোরুর দুধ)] পাওয়া যায়। বাক্যটির অর্থ : (১) এখানে মুরগি পাওয়া যায়। (ও) (২) এখানে গোরুর দুধ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, (৩) এখানে মুরগি ও গোরুর দুধ পাওয়া যায়।

গরিবের তিন বল / ড. মোহাম্মদ আমীন

Image
বল বল তিন বল, ভোজনে অম্বল, শয়নে কম্বল এবং মরণে রাম-বল : এটি একটি প্রবাদ। অন্তর্নিহিত অর্থ - গরিবের অসহায়ত্ব, সম্পদহীনতা, মৌলিক চাহিদার প্রচণ্ড অভাব, নিরাপত্তহীনতা, বিপর্যয়ে গরিবদের একমাত্র ঈশ্বরে আনত হওয়ার বাধ্যবাধকতা প্রভৃতি। মহারাজ পাণ্ড্য দেবরাজ রামকে বলল : প্রভু, আমার জন্য কী রেখেছেন? : দুই বল; বাহু বল আর অর্থ বল।  চির ক্ষুধার্থ মহেশ কুণ্ড বলল : প্রভু, আমি খুব গরিব। আমাকে কিন্তু এক বল বেশি দিতে হবে। দেবরাজ মুচকি হেসে বললেন : তোমার জন্য তিন বল।এক বল বেশি।  : কী? : ভোজনে অম্বল, শয়নে কম্বল, মরণে রাম-বল। এখনও মহেশ কুণ্ডের মতো ক্ষুধার্ত গরিবেরা “ভোজনে অম্বল, শয়নে কম্বল এবং মরণে রাম-বল” নিয়েই দিনাতিপাত করছে। ------------------------------------------------------------- সূত্র : বাংলা ভাষার মজা,  ড. মোহাম্মদ আমীন,   পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.,  ড. মোহাম্মদ আমীন “এখানে মুরগি ও গোরুর দুধ পাওয়া যায়।” অনেকে বলেন, বাক্যটি অশুদ্ধ, কারণ মুরগি দুধ দেয় না। মুরগির দুধের সঙ্গে বাক্যটির সম্পর্ক কী, তা আমার জানা নেই। বাক্যটিতে তো বলা হয়নি, “এখানে মুরগির দুধ ও গোরুর দুধ পাওয়া যায়।” “এখানে

গরু ও গোরু / ড. মোাহাম্মদ আমীন

Cow শব্দের বাংলা ‘গরু’ না ‘গোরু’ এ নিয়ে অনেকের সংশয়। বানান নিয়ে সংশয় অমূলক নয়। কারণ ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের আগেও লেখা হয়েছে গরু। তাহলে আবার ‘গোরু’ কেন? বাংলা ভাষার আদি হতে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা যায়। পঞ্চাশটি চর্যাপদের মধ্যে ‘গরু’ শব্দ নেই। মধ্যযুগের কাব্যে Cow এর বাংলা অর্থ হিসেবে ছয় রকম বানান পাওয়া যায়। সেগুলো হচ্ছে : গরু, গরুঅ, গরূ, গোরু, গোরো, গো।   ১৪৫০ -১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে বড়ু চণ্ডীদাস লিখেছেন গরু, গরূ, গোরো এবং বিদ্যাপতি লিখেছেন ‘গরুঅ’। ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে মালাধর বসু লিখেছেন ‘গোরু’, ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে মুকুন্দ দাস লিখেছেন ‘গোরু’ এবং ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে নজরুল ইসলাম লিখেছেন ‘গোরু। ১৯২৯/৩০ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের লেখাতেও ‘গোরু’ বানান দেখা যায়। যদিও পরে তিনি ‘গরু’ লিখতে শুরু করেন।পশ্চিমবঙ্গেও সে সূত্রে গরু প্রচলিত হয়ে যায়। যদিও সুনীতিবাবু লিখতেন গোরু।রবীন্দ্রনাথ ‘গরু’ লেখাতে ওই বানানটিই বহুল প্রচলিত হয়ে পড়ে।   গো (সংস্কৃত, গম+ও) / গোরু/গরু (সংস্কৃত, গরূপ) অর্থ হলো: জ্ঞান, ঐশ্বর্য, ধনু, গাভি, ষাঁড়, বৃষ, নিরেট বোকা/মূর্খ প্রভৃতি।   বাংলাদেশের বাংলা একাডেমি উচ্চারণ অভিধান ও ব্যবহ