Posts

Showing posts from July, 2016

প্রেক্ষিত/পরিপ্রেক্ষিত

পরিপ্রেক্ষিত ও প্রেক্ষিত শব্দের তফাৎ আকাশ-পাতাল। তবু অনেকে ‘পরিপ্রেক্ষিত’ বুঝাতে ‘প্রেক্ষিত’ শব্দটি ব্যবহার করেন। প্রেক্ষিত শব্দ হতে প্রেক্ষণ শব্দের উদ্ভব। এর অর্থ দৃষ্টি। প্রেক্ষিত হচ্ছে প্রেক্ষণ শব্দের বিশেষণ। এর অর্থ যা দর্শন করা হয়েছে। সুতরাং Perspective/ Background শব্দের অর্থ বুঝাতে প্রেক্ষিত লেখা চরম অজ্ঞতা। এ অর্থে লিখুন পরিপ্রেক্ষিত।

কর্মকর্তা বনাম কর্মকর্তৃবৃন্দ / ড. মোহাম্মদ আমীন

কমকর্তা কিন্তু কর্মকর্তৃবৃন্দ/কর্মকর্তাগণ ********************************** তৎসম তৃচ-প্রত্যয়ান্ত একবচন-বাচক পদের শেষে ‘তা’ বা ‘র্তা’ থাকলে বহুবচনে যথাক্রমে ‘তৃ’ ও ‘র্তৃ’ রূপ ধারণ করে। যেমন : কর্তা : কর্তৃবৃন্দ, কর্তৃগণ, কর্তৃমণ্ডলী প্রভৃতি। কর্মকর্তা : কর্মকর্তৃবৃন্দ, কর্মকর্তৃগণ, কর্মককর্তৃমণ্ডলী প্রভৃতি। দাতা : দাতৃবৃন্দ, দাতৃগণ, দাতৃমণ্ডলী প্রভৃতি। মাতা : মাতৃবৃন্দ, মাতৃগণ, মাতৃমণ্ডলী প্রভৃতি। পিতা : পিতৃবৃন্দ, পিতৃগণ, পিতৃমণ্ডলী প্রভৃতি। ভ্রাতা : ভ্রাতৃবৃন্দ, ভ্রাতৃগণ, ভ্রাতৃমণ্ডলী প্রভৃতি। নেতা : নেতৃবৃন্দ, নেতৃগণ, নেতৃমণ্ডলী প্রভৃতি। শ্রোতা : শ্রোতৃবৃন্দ, শ্রোতৃগণ, শ্রোতৃমণ্ডলী প্রভৃতি। ******************************************************  সূত্র : ড. মোহাম্মদ আমীন, বাংলা বানান ও শব্দচয়ন, দাপ্তরিক প্রমিত বাংলা বানান।

তা/ র্তৃ-যুক্ত শব্দের আচরণ

কয়েকটি ব্যাতিক্রান্ত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে তৎসম তৃচ-প্রত্যয়ান্ত বা অন্তে ‘তা’ বা ‘র্তা’ যুক্ত কোনো শব্দের শেষে কোনো চিহ্ন/বর্ণ কিংবা শব্দ/শব্দাংশ যুক্ত হলে ওই ‘তা’ বা ‘র্তা’ পরিবর্তিত হয়ে যথাক্রমে ‘তৃ’ ও ‘র্তৃ’ রূপ ধারণ করে। যেমন : ১. কর্তা : কর্তৃবৃন্দ, কর্তৃগণ, কর্তৃমণ্ডলী, কর্তৃপক্ষ, কর্তৃভবন, কর্তৃরূপ, কর্তৃবিয়োগ, কর্তৃহীন, কর্তৃতর্পণ, কর্তৃবৎ, কর্তৃস্থানীয়, কর্তৃভক্তি, কর্তৃহন্তা, কর্তৃকুল প্রভৃতি। ২. কর্মকর্তা : কর্মকর্তৃবৃন্দ, কর্মকর্তৃগণ, কর্মকর্তৃবৎ, কর্মকর্তৃভবন, কর্মকর্তৃমণ্ডলী, কর্মকর্তৃতুল্য, কর্মকর্তৃপরিষদ, কর্মকর্তৃসংঘ, কর্মকর্তৃহীন, কর্মকর্তৃবিয়োগ প্রভৃতি। ৩. দাতা : দাতৃবৃন্দ, দাতৃগণ, দাতৃমণ্ডলী, দাতৃভক্তি, দাতৃমৃত্যু, দাতৃবিয়োগ, দাতৃহীন, দাতৃবৎ, দাতৃবন্দনা, দাতৃসদন, দাতৃসংঘ, দাতৃকুল প্রভৃতি। ৪. মাতা : মাতৃস্নেহ, মাতৃভাষা, মাতৃদুগ্ধ, মাতৃভক্তি, মাতৃকুল, মাতৃত্ব, মাতৃস্তন্য, মাতৃকল্যাণ, মাতৃবৎ, মাতৃবন্দনা, মাতৃভূমি, মাতৃমৃত্যু, মাতৃবিয়োগ, মাতৃহীন প্রভৃতি। ৫. পিতা : পিতৃব্য, পিতৃপুরুষ, পিতৃগৃহ, পিতৃঋণ, পিতৃতর্পণ, পিতৃধর্ম, পিতৃসত

ইদ বনাম ঈদ / ড. মোহাম্মদ আমীন

ইদ বনাম ঈদ ======= ‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান (২০১৬)’ ও ‘বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (২০১৫)’ অনুযায়ী عيد (Eid) শব্দের প্রমিত ও সংগততর বাংলা বানান ‘ইদ’। প্রমিত বানান রীতি অনুযায়ী বিদেশি শব্দে ‘ঈ’ বা ‘দীর্ঘ ঈ-কার’ ব্যবহৃত হয় না। عيد (Eid) বিদেশি শব্দ। তাই প্রমিত বানানরীতি অনুসারে শব্দটির প্রমিত ও সংগততর বাংলা বানান ‘ইদ’, ‘ঈদ’ নয়। শব্দটির বানানে ‘ঈ’ বা ‘ই’ যা-ই দেওয়া হোক না কেন; উচ্চারণের, সম্মানের বা গাম্ভীর্যের কোনো পরিবর্তন হবে না, কিন্তু ‘ই’ দিলে প্রমিত বানানরীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষায় আদর্শমান ও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। যা ভাষাকে করবে আরও সর্বজনীন, বোধগম্য, অভিন্ন ও প্রমিত। ভাষা বহমান নদীর মতো। প্রত্যেক ভাষার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয় পরিক্রমা রয়েছে। প্রাচীনত্বের অজুহাতে ভাষার স্বকীয়তা এবং ভাষানদীর সাবলীল প্রবাহে বাধা দিয়ে ঐকমত্য সৃষ্টিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা সমীচীন বলে মনে হয় না। অনেকে বলেন, 'ইদ' বানান এখনও ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়নি। সম্মানিত শুবাচি জনাব Khurshed Ahmed এর ভাষায় বলা যায় : “আপনি-আমি শুরু করলেই সংগততর 'ইদ' বানানটি প্র

জিপিএ ফাইভ / মিনহা সিদ্দিকা

মাছরাঙা টিভিতে ‘জিপিএ ৫-প্রাপ্ত শিক্ষার্থী’দের নিয়ে ২৯ মে, ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রশ্নকারী সাংবাদিকের অজ্ঞতা। ----------------------------------------------------------------------------- ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে আমি সাতবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসপি পাশ করেছি। এখন কলেজে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায়। গত ২৯ মে, ২০১৬ তারিখে মাছরাঙা টিভিতে জিপিএ ৫-প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের ভুল উত্তর শুনে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রশ্নকারী ওই সাংবাদিক কত ভুল করেছেন এবং কী অজ্ঞতার সঙ্গে প্রশ্ন করেছেন সেদিকে কারও নজর পড়েনি। ভুল প্রশ্নের ঠিক উত্তর দেওয়া যায় না। দেখুন প্রশ্নকারী সাংবাদিক কত অজ্ঞতার সঙ্গে প্রশ্ন করেছেন : সাংবাদিকের একটি প্রশ্ন : “শহিদ মিনার কোথায়?” কেউ যদি আমাকে এ প্রশ্ন করেন, আমি বলব : “চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়ার বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে।” কারণ, আমার ওই স্কুলের মাঠেও একটি শহিদ মিনার আছে। তবে কেউ যদি প্রশ্ন করেন : “বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার কোথায়?” তখন বলব : “ঢাকা শহরে, ঢাকা ম্যাডিক্যাল কলেজের সন্নিকটে।” আরও দুটি

ভাষা গণিত / ড. মোহাম্মদ আমীন

ভাষা-গণিত একটি রম্য বিশ্লেষণ উচ্চ-বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : যাদের বৃদ্ধ পিতা-মাতা, অবিবাহিত বোন ও অতি দরিদ্র নিকটাত্মীয় আছেন তাদের জন্য নিষিদ্ধ। ------------------------------------------------------------------------------------- শুশ্রূষা শব্দের আভিধানিক অর্থ পরিচর্ষা, সেবা ইত্যাদি। আবার ‘শ্রবণ করার ইচ্ছা’ বাগ্ভঙ্গিকে এককথায় ‘শুশ্রূষা’ বলা হয় (সংস্কৃতে)। অর্থাৎ শুশ্রূষা = পরিচর্ষা ------------------------------------(১) শুশ্রূষা = সেবা --------------------------------------- (২) শুশ্রূষা = শ্রবণ করার ইচ্ছা -------------------------- (৩) সেবা = পরিচর্যা = আদর = সোহাগ, ধাত্রীগিরি -------(৪) সুতরাং সমীকরণ (১), (২), (৩) ও (৪) হতে পাই শ্রবণ করার ইচ্ছা = শুশ্রূষা = পরিচর্যা= সেবা= আদর= মমতা= ধাত্রীগিরি। অতএব ভাষা-গণিত অনুসারে, কেবল ‘শোনার ইচ্ছা’ থাকলেই হলো; প্রকৃতপক্ষে আর্থিক, শারীরিক বা মানসিকভাবে কারও সেবা, পরিচর্যা, আদর, মমতা, ধাত্রীগিরি না-করেও শ্রবণ করার ইচ্ছা থাকলে ‘শুশ্রূষা’ হয়ে যায়। হয়তো এজন্য আমরা, অসহায়-আহত বা দরিদ্র মানুষ, বৃদ্ধ-পিতামাতা কিংবা অত্যাচারিতের করুণ আ

নামের অর্থ / মিনহা সিদ্দিকা

আপনার নামের অর্থ কী? আমিই আমার নামের অর্থ। আমার নাম, আমার পরিচায়ক। তাই আমার নামের কোনো আক্ষরিক অর্থ নেই। তবে ‘মিনহা’ ও ‘সিদ্দিকা’ শব্দের অর্থ আছে। এজন্য “মাখন লাল সরকার” নামীয় কোনো ব্যক্তির অর্থ Red Butter Government নয় এবং “গোপাল (ব্যক্তির নাম) যায়” বাক্য দিয়ে “গোরুর পাল যায়” বুঝায় না। শব্দার্থের অভিধানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শামুসর রাহমান, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মীর মশাররফ হোসেন, কাজেম আলী কোরেশী প্রভৃতি নামের কোনো অর্থ পাওয়া যায় না। চরিতাভিধানে তাঁদের নামের পাশে যে বর্ণনা থাকে, তাতে তাঁদের পরিচয়, কর্ম, কৃতিত্ব প্রভৃতি বিধৃত থাকে। ব্যক্তির নাম সংশ্লিষ্ট জনের একান্ত নিজস্ব এবং অদ্বিতীয় প্রত্যয়। এর অর্থ ওই ব্যক্তিকে প্রকাশের জন্য, চিহ্নিত করার জন্যই কেবল রাখা হয়। তাই ব্যক্তির পরিপ্রেক্ষিতে নামের কোনো আক্ষরিক অর্থ থাকে না। ব্যক্তিই ব্যক্তির নামের অর্থ এবং ব্যক্তির নাম কেবল ব্যক্তিকেই শনাক্ত করে। তাই কাউকে ‘আপনার নামের অর্থ কী?’ প্রশ্ন করা সমীচীন বলে মনে হয় না। বরং বলা যেতে পারে “আপনার নাম যে শব্দ/ শব্দগুচ্ছ দিয়ে গঠিত সে শব্দ/ শব্দগুচ

জনাব বনাম জনাবা / ড. মোহাম্মদ আমীন

জনাব বনাম জনাবা : ‘জনাব’ সম্মানজ্ঞাপক শব্দ। ব্যক্তির নামের পূর্বে শব্দটি সম্মান ও ভদ্রতা প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা হয়। অনেকে মহিলাদের নামের পূর্বে ‘জনাব’ এর স্ত্রীবাচক পদ হিসাবে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মানুসারে ‘আ’ যুক্ত করে ‘জনাবা’ লিখে থাকেন। এটি রীতিমতো অপমানজনক। ‘জনাবা’ শব্দের অর্থ ঋতুমতী নারী। এ অবস্থায় কোনো নারীর নামের আগে ‘জনাবা’ লেখা ওই নারীর পক্ষে কত লজ্জাকর ও অপমানজনক তা সহজে অনুমেয়। ‘বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ অনুযায়ী ‘জনাব’ শব্দটি নারীপুরুষ নির্বিশেষে ব্যক্তির নামের পূর্বে ব্যবহার করা যায়। তবে কারও নামের পূর্বে সৈয়দ, খান, খন্দকার বা অন্য কোনো পদবি থাকলে ‘জনাব’ লেখা সমীচীন নয়। আমরা বাংলাতে কোনো পুরুষকে ‘জনাব’ বলে সম্বোধন করব, একইভাবে কোনো মহিলার নামের পূর্বেও সম্মানসূচক শব্দ হিসাবে ‘জনাব’ ব্যবহার করব। তবে কোনো অবস্থাতে ‘জনাবা’ নয়। স্মর্তব্য, আরবি বা ফারসি ভাষার লিঙ্গান্তরের নিয়ম বাংলা ভাষার মতো নয়। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান (২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ) অনুযায়ী ‘জনাব’ অর্থ : ব্যক্তিনামের পূর্বে ব্যবহৃত সম্মানসূচক শব্দ, মহাশয়, শ্রী। ‘বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভি

মাতৃভাষা / মিনহা সিদ্দিকী

বিদেশি ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তবে তা অবশ্যই মাতৃভাষার প্রাধান্যকে পুরোপুরি স্বীকৃতি দিয়ে। নইলে ওই শিক্ষা জাতিকে যুগের পর যুগ ভিক্ষুকের মতো পরনির্ভরশীলতার নিকৃষ্ট-স্থানে আবদ্ধ করে রাখবে। শিক্ষাবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ভাষায় বলা যায় : “বিদেশী (বিদেশি) ভাষাই আমাদের দেশে সাক্ষরের হার বৃদ্ধির অন্তরায়। বিদেশী ভাষা শিক্ষার বাহন হলে মুখস্থ করার প্ররোচনা দেয় ছাত্রদের এবং এর ফলে তাঁদের মৌলিক চিন্তার প্রসার ঘটতে বাধার সৃষ্টি হয়।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ’ প্রবন্ধে মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার উপকারিতা-অপকারিতা সম্পর্কে বলেন : “একদিন ল্যাটিন ভাষাই ছিল সমস্ত ইউরোপের শিক্ষার ভাষা, বিদ্যার আধার। তার সুবিধা এই ছিল, সকল দেশের ছাত্রই এক পরিবর্তনহীন সাধারণ ভাষার যোগে শিক্ষালাভ করতে পারত। কিন্তু তার প্রধান ক্ষতি ছিল এই যে, বিদ্যার আলোক পাণ্ডিত্যের ভিত্তিসীমা এড়িয়ে বাইরে অতি অল্পই পৌঁছত। যখন থেকে ইউরোপের প্রত্যেক জাতিই আপন আপন ভাষাকে শিক্ষার বাহনরূপে স্বীকার করলে তখন শিক্ষা ব্যাপ্ত হল সর্বসাধারণের মধ্যে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় দেশের চিত্তের সাথে অন্তরঙ্গরূপে যুক্ত হল। শুনতে কথাট

দেখার ভয়ে চোখ নষ্টকরণ / অভিজিৎ অভি

শুবাচ গ্রুপে বহু পোস্ট দেখতে পাই যে বাংলা ভাষায় দুটো ন (ণ আর ন), তিনটি শ (শ,ষ,স) থাকায় বানানে অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে। একটা রেখে বাকি বর্ণগুলো ফেলে দিলে বাংলা ভাষা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এই দাবিটি কতটুকু যৌক্তিক? আমরা সবাই ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে জানি। ইংরেজি বর্ণমালায় বর্ণের সংখ্যা বাংলার প্রায় অর্ধেক। ইংরেজি ভাষায় মোট ধ্বনি ৪৪টি, অথচ বর্ণ ‍২৬টি। এক বর্ণ দিয়ে তারা একাধিক ধ্বনির কাজ চালায়। এইরকম চরম বর্ণসংকটে থাকার পরেও ইংরেজি ভাষায় একটা ধ্বনির জন্য একাধিক বর্ণ (বা বর্ণগুচ্ছ) ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। বাংলায় ‘ক’ ধ্বনির জন্য কেবল ক ব্যবহৃত হয়; অন্যদিকে ইংরেজিতে ‘ক’ ধ্বনির জন্য c(cat), k(king), q(queen), ck(duck), ch(stomach) এইপ্রকার পাঁচটি বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ব্যবহৃত হয়। যদি শব্দগুলো কেবল k দিয়ে লেখা হয় (kat, king, kueen,duk, stomak) তাহলে কি ইংরেজি ভাষা আরও সরল হবে না? কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ইংরেজ এমন চিন্তা করেন নি। বাংলা ছাড়া হিন্দি, মারাঠি, সিন্ধি, বিহারি, ভিলি, মারওয়ারি, কোংকনি, ভোজপুরি প্রভৃতি ভাষাতেও ণ এবং ন বিরাজমান। এতগুলো ভাষা যদি দুটি ণ নিয়ে চলতে পারে, তবে আমরা কে

শুবাচের জন্য লেখা / আবীর মাহমুদ

শুবাচে কিছু লিখবো বলে সাহসে কুলায় না৷ এখানে জ্ঞানী-গুণীদের ভীড়৷ তবু কয়েকটি কথা বলতে চাই, যদি এডমিনের সুনজরে পড়ে আলোর মুখ দেখে এতটুকু আশা… একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, শুবাচে শুদ্ধবানান নিয়ে আমরা সবাই আগ্রহ নিয়ে কথা বলি, জানতে চাই, জানাতে চাই৷ ক্ষেত্র বিশেষে বাঙলা একাডেমিকে আমরা প্রতিপক্ষ মনে করি৷ এরজন্য দায় আমাদের একার নয়, একাডেমিরও রয়েছে৷ ভারতীয় ভাষা সমূহের মধ্যে বাংলা এবং সংস্কৃতের ঘনিষ্ঠতা সবচেয়ে বেশি৷ এতকাল বাংলাকে সংস্কৃতের দূহিতা মনে করলেও আজকাল কেউ কেউ এতে প্রশ্ন তুলেছেন৷ বাংলা সংস্কৃতের দূহিতা নয়, বাংলার সংস্কারিতরূপই সংস্কৃত৷ বাংলা গদ্যের প্রাথমিক যুগে আরেকটি সংস্কারিত বাংলার জন্ম হয়েছিল, সাধু ভাষা৷ বেচারা বাঁচেনি বেশি দিন৷ নতুন সংস্কারিতরূপ চলিত ভাষাই এখন সজীব৷ আবার শুরু হয়েছে প্রমিত বাংলা নামে নতুন সংস্কার৷ এই সংস্কারের পক্ষে বিপক্ষে মতের অভাব নেই৷ মত ছাড়া আবেগও আছে৷ দীর্ঘদিনের গরুকে হঠাৎ গোরুরূপে দেখে অনেকেই চমকে উঠেছেন, অনেকে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়েছেন, আমরা ভুলে গেছি, গোরু বেচারার রূপ খর্ব করেই আমরা গরু করেছি৷ বাঙলা একাডেমির গবেষণাকে স্বাগত জানাই৷ তবু কয়ে

কিছু প্রবাদ কিছু কথা / মোর্শেদ হাসান

কিছু প্রবাদ কিছু কথা ১) ভিটেয় ঘুঘু চরানো সাহিত্য, সিনেমায় এ প্রবাদটি অসংখ্যবার শোনা যায়। এ মুহূর্তে ‘নয়নমণি’ সিনেমায় এ.টি.এম শামসুজ্জামানের সংলাপ মনে পড়ছে- “এমন ব্যবস্থা করব বাপধন ভিটেয় ঘুঘু চরিয়ে ছাড়ব। এখন ষড়যন্ত্র বা প্রতিহিংসাপরায়ণতার সঙ্গে ভিটেয় ঘুঘু চরানোর কী সম্পর্ক? ভিটে থেকে কুচক্রী বুদ্ধির মাধ্যমে শুধু উচ্ছেদ করলে তা-ও না হয় বোঝা যেত। কিন্তু ঘুঘু চরানোর ব্যাপারটা কী? আসলে গ্রাম বাংলার খুব পরিচিত একটি পাখি ঘুঘু। নির্জন দুপুরে ঘুঘুর সুমধুর ডাক শুনে আনমনা হয়ে যান নি সে যুগে এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। ঘুঘু পাখির স্বভাব হচ্ছে মানুষের কোলাহল মুক্ত পরিবেশে, শান্ত নির্জন স্থানে বিচরণ করা। তাই কাউকে ভিটে-মাটি ছাড়া করার হুমকি দেওয়ার জন্য বলা হয়- ভিটেয় ঘুঘু চরাবো। অর্থাৎ উচ্ছেদ করার পর সে ভিটে এতটাই বিরানভূমি হবে যে সেখানে ঘুঘু চরানোর মতো নির্জন পরিবেশ তৈরি করা হবে। ২) ভূতের মুখে রামনাম বহুল প্রচলিত প্রবাদ। শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসে মাছ চুরির সময় ইন্দ্রনাথ একটি ছোট বাচ্চার মড়া নৌকায় তুলে নেয়। গা ছমছম করা গভীর রাতে শ্রীকান্তের হঠাৎ মনে হল নৌকার গলুইয়ে কে

য-ফলার উচ্চারণ / মিনহা সিদ্দিকা

য-ফলার উচ্চারণ: ১. য-ফলার পর ব্যঞ্জনধ্বনি বা অ, আ, ও প্রভৃতি ধ্বনি থাকলে য-ফলা ‘অ্যা’-এর ন্যায় উচ্চারিত হয়। যেমন : ব্যবহার (ব্যাবোহার্), ন্যস্ত (ন্যাস্তো) প্রভৃতি। ২. য-ফলার পরে ‘ই’ ধ্বনি থাকলে য-ফলা ‘এ’-এর ন্যায় উচ্চারিত হয়। যেমন : ব্যক্তি (বেক্তি), ব্যতীত (বেতিতো) ইত্যাদি। ৩. য-ফলা শব্দের মাঝে বা শেষে থাকলে ওটি ‘দ্বিত্ব’ উচ্চারিত হয়। যেমন : যদ্যপি (যদ্দপি), বিদ্যা (বিদ্দা) প্রভৃতি। ৪. শব্দের প্রথমে য-ফলার সঙ্গে উ-কার, ঊ-কার বা ও-কার থাকলে ওই য-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন : ন্যূনতম (নুনোতমো), (দুতি), ন্যস্ত (নস্‌তো) প্রভৃতি। ৫. ‘হ’-এর পর য-ফলা থাকলে হ+য-ফলা ‘জ্ঝ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— সহ্য (শোজ্ঝো), বাহ্য (বাজ্ঝো) প্রভৃতি।

টি' ও টা অব্যয় / রহমতউল্লাহ মিসবাহ

আমরা যেখানে সেখানে 'টি' ও 'টা' অব্যয় ব্যবহার করি , কিন্তু কোথায় 'টি' ব্যবহার করবো , আর কোথায় 'টা' তা জানি না । বাংলায় 'টি' ও 'টা'-এর ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ । তাই এই বিষয়ে কিছু আলোচনা । এগুলো মনে রাখলে আশা করি আমাদের আর ভুল হবে না । ১ / 'টি' অব্যয়টি হলো কোন কিছুর প্রতি আলাদাভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য । এটি বিশিষ্টতা-নির্দেশক অব্যয় । যেমন-জলপূর্ণ কলসিটি কাঁখে করে বয়ে নিতে বধুর কষ্ট হচ্ছিলো ।' লেখক এখানে বধুর কষ্টের কারণটির দিকে পাঠকের দৃষ্টি বিশেষভাবে আকর্ষণ করতে চাচ্ছেন । ২ / ক্ষুদ্রতা বা অন্তরঙ্গতা বা স্নেহ বোঝাতে 'টি' ব্যবহার হয় । যেমন-কলসিটি ( কলসি হচ্ছে ছোট ) , ক্ষুদ্রতা বোঝানো হয়েছে । 'বইটি তো বেশ চমৎকার' আদৃত-এর উদাহরণ । ৩ / বড় বা অনাদৃত বস্ত বোঝাতে 'টা' ব্যবহৃত হয় । যেমন-কলসটা ( কলস হচ্ছে বড় ) , 'বইটা একদম বাজে' ! অনাদৃত-এর উদাহরণ । ৪ / বড়-ছোট , প্রিয়তা-অপ্রিয়তা কিছুই যদি বোঝানো উদ্দেশ্য না হয় , বরং সাধারণভাবে বস্তটা নির্দেশ করা উদ্দেশ্য হয় তাহলে সেক্ষেত্রে 'টা' ব

অটবি-র মূল Auto / আবীর মাহমুদ

অটবি-র মূল Auto অভিধানে অটবি শব্দের বুৎপত্তি দেখানো হয়েছে এভাবে [ অট্ (বিচরণ করা) + অ + বি (বিহগ, পক্ষী) যথায় বিহগেরা বিচরণ করে; অথবা অট্ (ভ্রমণ করা) + অবি (ধি) যথায় বৃদ্ধাবস্হায় গমন করে। বাংলায় অটবি বন অর্থে ব্যবহৃত হয়। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, অটবির মূল সংস্কৃত অট। অট অর্থ হচ্ছে বিচরণ করা বা ভ্রমণ করা। অর্থাৎ যা বিচরণ বা ভ্রমণ করতে পারে তাই অট। এই অট-র সাথে ইংরেজি অটো (Auto) শব্দের মিল রয়েছে। ইংরেজি অটোকে অভিধানে automobile এর সংক্ষিপ্তরূপ বলা হয়েছে। এবং অটো উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃ ত হয়। Auto শব্দের অর্থ হয়, স্বয়ংক্রিয়, চলমান, বিচরণশীল, বিচরণ কার। ইংরেজি অভিধানে অটোর অরিজিন লেখা হয়েছে উত্তর আমেরিকান, গ্রীক, ল্যাটিন ইত্যাদি। কিন্তু সংস্কৃত অট-র সাথে ইংরেজি Auto-র যে মিল রয়েছে তা অভিধানে না বললেও যেকেউ সহজে অনুমান করে নিতে পারেন।

হন্ত-দন্ত / আবীর মাহমুদ

বাংলা অভিধানে শব্দযুগলকে দেশি শব্দ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। অর্থ করা হয়েছে, "অতি ব্যস্ত ও উত্কণ্ঠিত, ব্যস্তসমস্ত"। এবার হন্তদন্তের দেশি একটা ব্যাখ্যা দেখুন: হাত>হাঁত>হন্ত, দাঁত>দন্ত। তাহলে সহজেই অনুমেয়, হাত ও দাঁত যেখানে একযোগে কাজ করে। আবহমান বাংলায়, স্বামীরা স্ত্রীদের পেটান, শাসনের নিমিত্তে যা কখনো কখনো অত্যাচার হয়ে দাঁড়াও আবার কখনো কখনো অত্যাচার সইতে না পেরে। আমি সকল নারীর কথা বলি না, তবে কিছু নারী যে মুখরা আছেন সেটা সবাই স্বীকার করবেন। আবার পুরুষের কথা ভাবুন, কারণে অকারণে স্ত্রী-পেটা করে এমন পুরুষের অভাব কখনো বঙ্গদেশে ছিল না। পেটুয়া স্বামীর হাত আর মুখরা স্ত্রীর দাঁত যখন একসাথে চলে, তখন একটা হন্ত-দন্ত কাণ্ড ঘটে।

অতৎসম শব্দে ষ এর ব্যবহার / অভিজিৎ অভি

অতৎসম শব্দে ‘ণ’ এর ব্যবহার এখন আর নেই।* বাংলা একাডেমির প্রমিত নিয়মে স্পষ্ট বিধান বলা হয়েছে “অতৎসম শব্দের বানানে ণ ব্যবহার করা হবে না।” কিন্তু ষ এর ক্ষেত্রে এমন কোন কঠিন নিয়ম করা যায় নি। এর সঙ্গত কারণও আছে। বিভিন্ন অর্ধতৎসম ও তদ্ভব শব্দে ষ এমনভাবে মিশে আছে, যে এসব শব্দ হতে ষ আর কিছুতেই পরিহার করা যায় না। তাই তৎসম নয়, এমন বহু শব্দে ষ বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে। এই প্রসঙ্গে নিম্নের বিষয়গুলো লক্ষণীয়: ১। সংস্কৃত শব্দের কোমল রূপে ষ বহাল থাকে। যেমন বর্ষা> বরষা, হর্ষ> হরষ। ২। তৎসম শব্দের যুক্তাক্ষর রূপে ষ থাকলে, তদ্ভবে একই যুক্তাক্ষর বা ষ যুক্ত অন্য একটি যুক্তাক্ষর হতে পারে। স্পষ্ট>পষ্ট, তৃষ্ণা> তেষ্টা, কৃষ্ণ> কেষ্টা, বিষ্ণু>বিষ্টু, বৈষ্ণব> বোষ্টম। ৩। তৎসমে ণ থাকলে তদ্ভবে ন হয়। যেমন কর্ণ>কান, স্বর্ণ>সোনা। কিন্তু ষ থাকলে তদ্ভবেও ষ থাকে। যেমন আমিষ>আঁষ, ষণ্ড>ষাঁড়, সুনিষণ্নক>সুষনি ৪। বাংলা সংখ্যাবাচক ষোল, ষাট ইত্যাদি শব্দে অবিসংবাদিতভাবে ষ হয়। ৫। আধুনিক বাংলা ক্রিয়াপদে ণ হয় না**, কিন্তু ষ হতে পারে। যেমন পোষা, মুষড়ে পড়া, শুষে নেয়া ইত্যাদি। ৬। ব

বাংলা বানানে 'জ' এবং 'য'-এর ব্যবহার / ড. মোহাম্মদ আমীন

বাংলা বানানে 'জ' এবং 'য'-এর ব্যবহার ... 'জ' ব্যবহারের নিয়ম... ১) শব্দের শেষে সাধারণত 'জ' বসে । যেমন তেজ,কাজ, গজ, নিজ, আজ, সাজ, দেশজ, ভেষজ, অনুজ, খনিজ, জলজ, পঙ্কজ, কাগজ, বরজ, সহজ । ২) বাংলা অধিকাংশ ক্রিয়াবাচক শব্দের শেষে 'জ' হয় । যেমন ভাজা, ভজা, ভেজা, খোঁজা, গজানো, ভজানো, ভেজানো, বাজানো, সাজানো । ৩) বিদেশি শব্দে সাধারণত 'জ' হয় । যেমন জ্যাম, জেলি, জংশন, জিনিস, জুলুম, গজল, জাহাজ, মরজি, কলিজা, সেমিজ, কামিজ, জালিম । 'য' ব্যবহারের নিয়ম... ১) তৎসম শব্দে 'য' হয় । যেমন যম, যজ্ঞ, যবন, যথা, যতি, যত্ন, যতেক, যন্ত্রণা, যমুনা, যশ, যষ্টি, যবুথবু, যুক্ত, যাহা, যাতনা। ২) 'য্ ' প্রত্যয়যুক্ত শব্দের শেষে 'য' হয় । যেমন সূর্য, তূর্য, শৌর্য, কার্য, আর্য, বীর্য, চৌর্য, ভার্যা, গাম্ভীর্য, স্বীকার্য, সাহচর্য, অপরিহার্য, অনিবার্য। ৩) আরবি ফারসি শব্দের উচ্চারণজনিত কারণে প্রতিধ্বনিকরণের জন্য 'য' ব্যবহৃত হয় । যেমন ওযু, নামায, হযরত, রমযান, রোযা আযান । ৪) বিদেশি বানানে 'Y'-এর প্রতিবর্ণ হিসেবে '

অন্তে ‘তা বা র্তৃ’-যুক্ত শব্দের আচরণ / ড. মোহাম্মদ আমীন

অন্তে ‘তা/ র্তৃ’-যুক্ত শব্দের আচরণ কয়েকটি ব্যাতিক্রান্ত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে তৎসম তৃচ-প্রত্যয়ান্ত বা অন্তে ‘তা’ বা ‘র্তা’ যুক্ত কোনো শব্দের শেষে কোনো চিহ্ন/বর্ণ কিংবা শব্দ/শব্দাংশ যুক্ত হলে ওই ‘তা’ বা ‘র্তা’ পরিবর্তিত হয়ে যথাক্রমে ‘তৃ’ ও ‘র্তৃ’ রূপ ধারণ করে। যেমন : ১. কর্তা : কর্তৃবৃন্দ, কর্তৃগণ, কর্তৃমণ্ডলী, কর্তৃপক্ষ, কর্তৃভবন, কর্তৃরূপ, কর্তৃবিয়োগ, কর্তৃহীন, কর্তৃতর্পণ, কর্তৃবৎ, কর্তৃস্থানীয়, কর্তৃভক্তি, কর্তৃহন্তা, কর্তৃকুল প্রভৃতি। ২. কর্মকর্তা : কর্মকর্তৃবৃন্দ, কর্মকর্তৃগণ, কর্মকর্তৃবৎ, কর্মকর্তৃভবন, কর্মকর্তৃমণ্ডলী, কর্মকর্তৃতুল্য, কর্মকর্তৃপরিষদ, কর্মকর্তৃসংঘ, কর্মকর্তৃহীন, কর্মকর্তৃবিয়োগ প্রভৃতি। ৩. দাতা : দাতৃবৃন্দ, দাতৃগণ, দাতৃমণ্ডলী, দাতৃভক্তি, দাতৃমৃত্যু, দাতৃবিয়োগ, দাতৃহীন, দাতৃবৎ, দাতৃবন্দনা, দাতৃসদন, দাতৃসংঘ, দাতৃকুল প্রভৃতি। ৪. মাতা : মাতৃস্নেহ, মাতৃভাষা, মাতৃদুগ্ধ, মাতৃভক্তি, মাতৃকুল, মাতৃত্ব, মাতৃস্তন্য, মাতৃকল্যাণ, মাতৃবৎ, মাতৃবন্দনা, মাতৃভূমি, মাতৃমৃত্যু, মাতৃবিয়োগ, মাতৃহীন প্রভৃতি। ৫. পিতা : পিতৃব্য, পিতৃপুরুষ, পিতৃগৃহ, পিতৃ

না হয় বনাম নাহয় / ড. মোহাম্মদ আমীন

না হয়/নাহয় ‘না হয়’ ও ‘নাহয়’ দুটি ভিন্ন অর্থ প্রকাশক বাগ্‌ভঙ্গি। অনেকে দুটি বাগ্‌ভঙ্গিকে অভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। যা সমীচীন নয়। ‘না হয়’ শব্দ ইতিবাচক অর্থে কোন কিছুর গুরুত্ব প্রকাশে ব্যবহার করা হয়। যথা: আমি না হয় যাব কিন্তু তুমি আসবে তো? এ বাক্যে ‘না হয়’ বাগ্‌ভঙ্গিটি ইতিবাচক গুরুত্ব প্রকাশে ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে, ‘নাহয়’ শব্দটি ‘পক্ষান্তরে/বরং’ ইত্যাদি অব্যয় প্রকাশে ব্যবহার করা হয়। যথা: আমি ‘নাহয়’ আমার সচিব উপস্থিত থাকবে।