Posts

Showing posts from March, 2016

শ্রীঘর / ড. মোহাম্মদ আমীন

কথিত হয়, ষোড়শ শতকের মধ্যভাবে শ্রীবাবু নামের এক ধনী অভিজাত হিন্দু কলকাতায় বিশাল এক প্রাসাদ বানিয়ে বসবাস করতেন। শ্রীবাবু বাস করতেন বলে প্রাসাদটি সাধারণ জনগণের কাছে ‘শ্রীঘর’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।মুসলিম শাসনামলে শ্রীবাবু ও তার পূর্বপুরুষগণ ছিলেন মোগল সম্রাটদের ঠিকাদার। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভের পর তিনি কোম্পানির পক্ষে কাজ শুরু করেন।    শ্রীবাবু ছিলেন গৌরীসেনের  ব্যবসায়িক গুরু ও অংশীদার। কালক্রমে শ্রীবাবু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আরও প্রিয়  ও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তার সহায়সম্পদ ক্রমশ  বেড়েই চলে। তবে একসময় কোনো কারণে কোম্পানির সঙ্গে তার মতের অমিল শুরু হয়। কোম্পানির অনেক প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরাগভাজন হয়ে পড়েন শ্রীবাবু। এর কিছুদিন পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শ্রীবাবুকে কোম্পানির সব কর্মকাণ্ড হতে বহিষ্কার করে দেয়। কোম্পানির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে নিরাপত্তার খাতিরে শ্রীবাবুকে তারই নির্মিত ‘শ্রীঘরে’ আটকে রাখা হয়। শ্রীবাবু মারা যাওয়ার পর শ্রীঘরটি ইংরেজ অপরাধীদের সাময়িক কারাগার হিসাবে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। কোনো ইংরেজ অপরাধ করলে তাকে ঘোষিত কারাগারে না-দিয়ে শ্রীঘরে আয়েশে রাখা হতো। ফলে শ

একটা পোস্ট ও একজন পাবলিক সার্ভেন্ট এর মন্তব্য ড. মোহাম্মদ আমীন

একটা পোস্ট, পাবিলক সার্ভেন্ট জনাব  Mizanur Rahman  এর মন্তব্য ও কিছু কথা ====================================== ‌‌"একটি বড় প্রশ্ন’ শিরোনামের পোস্টে জনাব মিজানুর রহমান (Mizanur Rahman ) মন্তব্য করেছেন : এতে দীনতা বা হীনম্নন্যতার কিছু তো দেখছিনে ভায়া!এটা বাংগাল ভাইদের বহির্মুখিনতা।এই দেখুনতো, আমার বাপ দাদা,তার ও অনেককাল আগে ঠাকুদ্দারা ও নুংগি গামচা পত্ত।আর আমি আপনি স্যুট প্যান্ট!!!! ভাব টা এমন যে, বিজ্ঞাপনী গিন্নির মত বলে বেড়াই,তীর ছাড়া আমার চলেই না!!!ইংরাজ আমলের কথাই ধরুন,ডিওরোজি শিষ্যরা কী গলাধঃকরণ টা ই না করেচে!!!তার ও আগে, কী অনায়াসে,পূর্ব বাংলার সব চাষাভুষা নমঃশূদ্র এর দল গোষ্ঠীশুদ্ধ মুসলমান হয়ে গেল!!! এরা জল কে বলে পানি!!!ফারসি শব্দ!!!মোট কথা বাংগাল ভায়ারা,কি বলেন পোষাক,ধর্ম,ভাষা,খাবার(কাচ্চি বিরিয়ানি, মোগলাই, রেজালা ফেজালা,কত কি)সব কিছুতেই বহির্মুখিন,মানে বিশ্ব নাগরিক!!! " ভেবেছিলাম তার মন্তব্যের একটা জবাব দেব। মন্তব্যটি পড়ে আমার ছেলে (দশম শ্রেণির ছাত্র) বলল : জনাব Mizanur Rahman ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন এবং পাবিলক সার্ভেন্ট। এককজন শিক্ষিত (?) বাংলাভাষী

আলোচনার পরিবেশ / শাহিদুল হক - শুবাচ

আলোচনার পরিবেশ (রম্য রচনা) আমার বউয়ের নাম`পঞ্চ’। তাকে আমি আদর করে পাঁচ বলে ডাকি। তার মুখটা পাঁচের মতো এ জন্য না, বৈবাহিকসূত্রে প্রাপ্ত ভালবাসার আতিশয্যেই তাকে `পঞ্চ’ না বলে `পাঁচ’ বলে ডাকি। কিন্তু এত নাম থাকতে তার মা-বাবা তার নাম ‘পঞ্চ’ রাখতে গেল কেন, তা আমি জানি না। আর জানবোই বা কেমন করে। ওদের বাড়ি আমাদে গ্রাম থেকে তিন গ্রাম দক্ষিণে। আমাদের গ্রামে বৃষ্টি হলে ওদের গ্রামে সেই বৃষ্টির পানি গড়িয়ে যেতে অনেক সময় লাগে। কেননা, মাঝের দূরত্বটা দু-তিন কিলোমিটার তো হবেই। তা ছাড়া বড়লোক-শ্বশুর কন্যার নাম-রহস্য জানা তো দূরের কথা বিয়ের আগে তার চেহারা-ছুরতও দেখা-শোনার কোন প্রয়োজন বোধ করি নি। বিয়ের পরে আমার বউ বড় ধরনের কোন ভুলভ্রান্তি করে ফেললে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকে দান-দক্ষিণাসহ সুন্দর সুন্দর পরামর্শ তো পেয়েই থাকি। তাঁরা ছোটখাট অভিযোগ বা ভুলভ্রান্তির ক্ষেত্রে দান-দক্ষিণা ছাড়াই কেবল পরামর্শ দিয়ে থাকেন, ‘তোমরা নিজেরা বসে আলোচনা করে মিটমাট করে নিও।’ আমি বহুবার আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছি। হিতে বিপরীতও হয়েছে। আমার শাশুড়ী একদিন বললেন, ‘বাবা, আমার মেয়ের সেই ছোটবেলা থেকেই পঞ্চমুখে কথা বলার অভ্যাস। তু

বিয়ের দাওয়াতপত্র / ড. মোহাম্মদ আমীন

একটি বড় প্রশ্ন ======== বাংলায় লেখা বিয়ের দাওয়াতপত্র খুঁজতে গিয়ে বুঝলাম, এটি বড় দুর্লভ। বাসায় অনেক বাংলাভাষীর পুত্র-কন্যার বিয়ের দাওয়াতপত্র কিন্তু সব ইংরেজিতে।  বাংলায় লেখা বিয়ের দাওয়াতপত্র কখন দেখেছি মনে পড়ে না। ইংরেজি  না-জানলেও পুত্র-কন্যার বিয়ের দাওয়াতপত্রে ইংরেজি ভাষার  ব্যবহার বাঙালির চরম হীনম্মন্যতা ও সাংস্কৃতিক দীনতার  পরিচায়ক। ইংরেজিতে বিয়ের দাওয়াতপত্র লিখে  অভিজাত হওয়ার এমন হীন মানসিকতা  হতে জাতি কী  মুক্তি পাবে?

‘শুবাচী’ বাঙালি / ড. হায়াৎ মামুদ

Image
‘শুবাচ’ প্রতিষ্ঠার প্রারম্ভে আমি বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দিইনি। গুরুত্ব না- দেওয়ার কারণও ছিল। এরকম অনেক সংগঠন ও দল বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরাও এমন কম করিনি। প্রতিষ্ঠাকালে যে তেজ, উদ্যম, উৎসাহ ও একাগ্রতা দেখা যায় - তা কয়েকদিনের মধ্যে ভাটার তলানিতে নেমে আসে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান উল্কার মতো হঠাৎ জ্বলে উঠে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে আবার নিভে যায়। উল্কার আলোর বেগ আছে, আবেগও থাকে, কিন্তু স্থায়িত্ব থাকে না। তাই  উল্কার আলো দিয়ে প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজ করা যায় না। আশঙ্কা ছিল হয়তো ‘শুবাচ’ও অনুরূপ হবে। ‘শুবাচ’ ও শুবাচের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহাম্মদ আমীন আমার এ ভুল ভেঙে দেয়। যত দিন যেতে থাকে, ততই শক্ত, ও বিস্তৃত হতে থাকে শুবাচ এবং শুবাচের ডালপালা। অল্পসময়ের মধ্যে ‘শুবাচ’ প্রত্যাশিত লক্ষ্য অতিক্রম করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩ রা অক্টোবর একজন সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত শুবাচ-এর সদস্য সংখ্যা এখন ৬১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন বাড়ছে সদস্য, প্রতিনিয়ত বাড়ছে কার্যপরিধির ব্যাপকতা। দেশে-বিদেশে রয়েছে শুবাচের অনেকগুলো শাখা। পৃথিবীর যেসব দেশে বাংলাভাষী রয়েছে, সেসব দেশে রয়েছে শুবাচের সদস্য। সদস্যবৃন্দ অনলাইনের মাধ্য

শুবাচ পোস্ট-অনুমোদন / ড. মোাহাম্মদ আমীন

Image
‘শুবাচ’ গ্রুপে প্রতিদিন গড়ে ৩৯টি পোস্ট আসে।তন্মধ্যে ৩/৪টির বেশি প্রকাশযোগ্য পোস্ট পাওয়া যায় না। প্রকাশযোগ্য পোস্টগুলো অনুমোদন করা হয়। যেগুলো অনুমোদনযোগ্য নয়, সেগুলো মুছে দেওয়া দিগন্ত ধারা সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ হয়। অনুমোদনের বিষয়ে সংশয় দেখা দিলে আলোচনার জন্য রেখে দেওয়া হয়। আলোচনার পর তা অনুমোদন করা হয় অথবা মুছে দেওযা হয়। বিবেচনা না-করে ইচ্ছেমতো পোস্ট অনুমোদন করলে ৩৫টি অযোগ্য পোস্টের আড়ালে ৪টি ভালো পোস্ট ঢাকা পড়ে যাবে। যা কারও কাছে কাঙ্ক্ষিত নয়। উল্লেখ্য, শুবাচে প্রতিদিন কয়টি পোস্ট অনুমোদন করা হবে, তার কোনো সীমা নেই। যতটি যোগ্য পোস্ট পাওয়া যায়- সবগুলো অনুমোদন করা হয়। পোস্ট অনুমোদন না-হলে অনেকে ইনবক্সে কারণ জানতে চান, আবার অনেকে ফোন করেন। কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেন। অনেকে মনে করেন- তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এটি বিব্রতকর। প্রসঙ্গত, পোস্ট অনুমোদনে ‘শুবাচ’ ব্যক্তিবিশেষে কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখায় না; এটা আপনাদের কাছে দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি। শুধু অনুমোদনযোগ্য কিনা তা বিবেচনা করা হয়।আমার নিজের পোস্টও অনেক সময় মুছে দেওয়া হয়। শাহিদুল হক ও খুরশেদ আহমেদসহ আরও অনেক নিয়মিত লেখকের বহু প