Posts

Showing posts from September, 2014

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ পুস্তিকার বানান সংশোধন আবশ্যক / ড. মোহাম্মদ আমীন

বানান ভুলের কবলে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ যে কোনো বিবেচনায় ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ সরকারের একটি যুগোপযোগী একটি কার্যকর উদ্যোগ। শিক্ষার প্রত্যেক স্তর নিয়ে এ শিক্ষানীতিতে যে-সব পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তা যেমন আধুনিক, তেমনি বাস্তবসম্মত ও সুদূরপ্রসারী। এতৎসত্ত্বেও জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০১০ পড়ে বাংলাভাষী হিসেবে কষ্ট লাগে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত (৭১ পৃষ্ঠার) এই শিক্ষানীতির বানানভুল ও ভাষারীতি দেখে একজন স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিও লজ্জায় চোখ ঢেকে ফেলবেন। বানানভুলের পাশাপাশি এতে যতিচিহ্নের ভুলপ্রয়োগসহ শব্দচয়নেও শৃঙ্খলার আভাস পাওয়া যায়নি। অনেক বাক্য অস্পষ্ট ও দুর্বল, ফলে অর্থ বুঝতে অসুবিধা হয়। কিছু কিছু বাক্যের পদবিন্যাস হাস্যকর, যা অনেক বাক্যকে অর্থহীন করে তুলেছে। সাধারণত ‘সাথে’ ও ‘সঙ্গে’ পদদুটো যথাক্রমে পদ্য ও গদ্যে ব্যবহার শোভনীয় মনে করা হলেও এ পুস্তিকায় দুটোই ব্যবহার করা হয়েছে। বিকল্পসিদ্ধ বানানের ক্ষেত্রে প্রমিত শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। যেমন : শ্রেণি বানানটি লেখা হয়েছে ‘শ্রেণী’। উদাহরণ উপস্থাপনায় একই উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট চিহ্নে ব্যবহারে সমতা রক্ষ

এককথায় প্রকাশ (এ -ঔ) / ড. মোহাম্মদ আমীন

এককথায় প্রকাশ ঐশ্বর্যের অধিকারী : ঐশ্বর্যবান ঐক্যের অভাব : অনৈক্য ঐরাবতের পত্নী : ঐরাবতী বাকী অংশ গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক : শুবাচ লিংক শুবাচ লিংক /২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৩ এককথায় প্রকাশ (ঐ- ঔ) এককথায় প্রকাশ (অ-অ) এককথায় প্রকাশ (ক-ক) এককথায় প্রকাশ (গ-গ) এককথায় প্রকাশ (ঘ-ঘ) এককথায় প্রকাশ (চ-চ) এককথায় প্রকাশ (ছ-ছ) এককথায় প্রকাশ (ঝ-ঝ) এককথায় প্রকাশ (ট-ট) এককথায় প্রকাশ (ঠ-ঠ) এককথায় প্রকাশ (ণ-ণ) এককথায় প্রকাশ (থ-দ) এককথায় প্রকাশ (ধ-ধ) এককথায় প্রকাশ (ন-ন) এককথায় প্রকাশ (ফ-ফ) এককথায় প্রকাশ (ব-ব) এককথায় প্রকাশ (ভ-ভ) এককথায় প্রকাশ (ব-ব) এককথায় প্রকাশ (থ-দ) এককথায় প্রকাশ (ঢ-ঢ)

একথায় প্রকাশ : শব্দ সংকোচন (এ - এ) / ড. মোহাম্মদ আমীন

এককথায় প্রকাশ  একই সময়ে বর্তমান : সামসময়িক (প্রচলিত সমসাময়িক) একই শ্রেণির লোক : জাতভাই একই গুরুর শিষ্য : সতীর্থ একই উদর থেকে জাত : সহোদর, সহোদরা (স্ত্রী) ক্রমশ বেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক : শুবাচ লিংক শুবাচ লিংক /২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৩ এককথায় প্রকাশ (এ-এ) এককথায় প্রকাশ (ঐ- ঔ) এককথায় প্রকাশ (অ-অ) এককথায় প্রকাশ (ক-ক) এককথায় প্রকাশ (গ-গ) এককথায় প্রকাশ (ঘ-ঘ) এককথায় প্রকাশ (চ-চ) এককথায় প্রকাশ (ছ-ছ) এককথায় প্রকাশ (ঝ-ঝ) এককথায় প্রকাশ (ট-ট) এককথায় প্রকাশ (ঠ-ঠ) এককথায় প্রকাশ (ণ-ণ) এককথায় প্রকাশ (থ-দ) এককথায় প্রকাশ (ধ-ধ) এককথায় প্রকাশ (ন-ন) এককথায় প্রকাশ (ফ-ফ) এককথায় প্রকাশ (ব-ব) এককথায় প্রকাশ (ভ-ভ) এককথায় প্রকাশ (ব-ব) এককথায় প্রকাশ (থ-দ) এককথায় প্রকাশ (ঢ-ঢ)

আমারই- আমারি; কেবলি স্বেচ্ছাচারী / ড. মোহাম্মদ আমীন

আমারই- আমারি; কেবলি স্বেচ্ছাচারী অনেকে ‘আমারই’ অর্থে ‘আমারি’, ‘সবই অর্থে সবি, ‘তোমারই অর্থে ‘তোমারি, আজও অর্থে ‘আজো’ ‘কখনও’ অর্থে কখনো, ‘এমনই’ অর্থে ‘এমনি’ ‘কেবলই’ অর্থে ‘কেবলি’ প্রভৃতি লিখে থাকেন।  প্রমিত বানান ও বাংলা ভাষার আদর্শ মান বজায় রাখার স্বার্থে এমন করা হতে বিরত থাকা সমীচীন। এটি অনেকটা যথেচ্ছাচারের মতো। ‘এমনই’ ও ‘এমনি’ দুটো ভিন্নার্থজ্ঞাপক শব্দ। ‘এমনি’ শব্দের অর্থ 'অকারণে', অযথা, ‘এমনই ’ শব্দের অর্থ : এতই, এই পরিমাণ, এই রকম, তুল্য আমারি, তোমারি, আজি ও এ রকম প্রভিৃতি শব্দগুলো একসময় কবিতায় ব্যবহার করা হত। যেমন : আজি এ প্রভাতে রবির কর/ কেমনে পশিল প্রাণের পর; তোমারি নাম বলব/ আমি বলব নানা ছলে...—রবীন্দ্রনাথ। বর্তমানে কবিতাতেও এমন শব্দ ব্যবহার করা হয় না। সুতরাং গদ্যে ব্যবহার করার প্রশ্নই আসে না। যারা এগুলো ব্যবহার করেন তাদের আধুনিক বাংলা ভাষা সম্পর্কে হয়তো ধারণা কম, নয়তো স্বেচ্ছাচার।

পার্থক্য ও তফাত / ড. মোহাম্মদ আমীন

পার্থক্য ও তফাত  পার্থক্য ও তফাৎ এর কতটুকু পার্থক্য? ‘পার্থক্য’ ও ‘তফাত’ এর মধ্যে কতটুকু পার্থক্য তা উপরের প্রশ্নে নিহিত আছে।  ‘পার্থক্য আর তফাত এর কতটুকু পার্থক্য?’ বাক্য দিয়ে উভয় শব্দের ভিন্নতা বা পৃথকত্ব জানতে চাওয়া হয়েছে। পার্থক্য শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রভেদ , বিভিন্নতা , পৃথকত্ব , বৈসাদৃশ্য। যেমন : কর্ম, জন্ম ও অবস্থান মানুষে মানুষে পার্থক্য সৃষ্টির অন্যতম নিয়ামক। অন্যদিকে ‘তফাত’ শব্দের আভিধানিক অর্থ দূরত্ব / দূরবর্তী স্থান, ব্যবধান প্রভৃতি।  যেমন : তিন ইঞ্চি তফাত থেকে প্রবল বেগে একটা গাড়ি সাঁ করে চলে গেল। ‘ব্যবধান’ বোঝাতেও তফাত শব্দ ব্যবহার করা হয়। অবশ্য এ ‘ব্যবধান’ এর অন্তর্নিহিত অর্থ হয় দূরত্ব। এত ব্যবধান গভীর সম্পর্ককেও নষ্ট করে দেয়। বংশে বংশে নাহিক তফাৎ। তবে ‘পৃথক’ অর্থ বোঝাতেও ‘তফাত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়।  যেমন : যতনের খাটুনি অযত্নের খাটুনি দুয়ের ফল তফাৎ।  লোহা ও পারদের ধর্মে অনেক তফত।   আসলে ‘পার্থক্য’ ও ‘তফাত’ শব্দের প্রভেদ নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট বাক্যের গঠন, উদ্দেশ্য ও কার্যকরণের ওপর। সাধারণত দূরত্ব, দূরবর্তী স্থান, ব্যবধান, পার্থক্য প্রভৃতি বুঝাতে ‘তফাত’ শব

এককথায় প্রকাশ (ঋ- ঋ) / ড. মোহাম্মদ আমীন

এককথায় প্রকাশ ১. ঋতুদ্বয়ের মিলনকাল : ঋতুসন্ধি ২. ঋষির দ্বারা উক্ত : আর্ষ ৩. ঋণ গ্রহণ করে যে : অধমর্ণ ক্রমশ: গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক : শুবাচ লিংক শুবাচ লিংক /২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৩ এককথায় প্রকাশ (অ-অ) এককথায় প্রকাশ (আ-আ) এককথায় প্রকাশ (ই-ই) এককথায় প্রকাশ (উ-উ) এককথায় প্রকাশ (ঋ-ঋ) এককথায় প্রকাশ (এ-এ) এককথায় প্রকাশ (ঐ- ঔ) এককথায় প্রকাশ (ক-ক) এককথায় প্রকাশ (গ-গ) এককথায় প্রকাশ (ঘ-ঘ) এককথায় প্রকাশ (চ-চ) এককথায় প্রকাশ (ছ-ছ) এককথায় প্রকাশ (ঝ-ঝ) এককথায় প্রকাশ (ট-ট) এককথায় প্রকাশ (ঠ-ঠ) এককথায় প্রকাশ (ঢ-ঢ) এককথায় প্রকাশ (ণ-ণ) এককথায় প্রকাশ (ত-ত) এককথায় প্রকাশ (থ-দ) এককথায় প্রকাশ (ধ-ধ) এককথায় প্রকাশ (ন-ন) এককথায় প্রকাশ (ফ-ফ) এককথায় প্রকাশ (ব-ব) এককথায় প্রকাশ (ভ-ভ) এককথায় প্রকাশ (ব-ব) এককথায় প্রকাশ (থ-দ)

এককথায় প্রকাশ (ঊ - ঊ) / ড. মোহাম্মদ আমীন

এককথায় প্রকাশ ঊধ্বে উত্থিত বাহু যার : ঊর্ধ্ববাহু ঊর্ধ্ব থেকে নিম্নে গমন : অবতরণ ক্রমশ: ঊ ঊধ্বে উত্থিত বাহু যার : ঊর্ধ্ববাহু ঊর্ধ্ব থেকে নিম্নে গমন : অবতরণ ঊর্ধ্ব ও বক্রভাবে যা গমন করে : তরঙ্গ ঊর্ণা নাভিতে যাহার : ঊর্ণনাভ গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক : শুবাচ লিংক শুবাচ লিংক /২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৩ এককথায় প্রকাশ (অ-অ) এককথায় প্রকাশ (আ-আ) এককথায় প্রকাশ (ই-ই) এককথায় প্রকাশ (উ-উ) এককথায় প্রকাশ (ঊ-ঊ) এককথায় প্রকাশ (ঋ-ঋ) এককথায় প্রকাশ (এ-এ) এককথায় প্রকাশ (ঐ- ঔ) এককথায় প্রকাশ (ক-ক) এককথায় প্রকাশ (গ-গ) এককথায় প্রকাশ (ঘ-ঘ) এককথায় প্রকাশ (চ-চ) এককথায় প্রকাশ (ছ-ছ) এককথায় প্রকাশ (ঝ-ঝ) এককথায় প্রকাশ (ট-ট) এককথায় প্রকাশ (ঠ-ঠ) এককথায় প্রকাশ (ঢ-ঢ) এককথায় প্রকাশ (ণ-ণ) এককথায় প্রকাশ (ত-ত) এককথায় প্রকাশ (থ-দ) এককথায় প্রকাশ (ধ-ধ) এককথায় প্রকাশ (ন-ন) এককথায় প্রকাশ (ফ-ফ) এককথায় প

ভালোবাসা ও পছন্দ / ড. মোহাম্মদ আমীন

 ভালোবাসা ও পছন্দ সাধারণত জন্মস্থান, প্রকৃতি, ধর্ম, ঈশ্বর, আত্মার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কজাত হার্দিক বিষয় এবং মানুষের প্রতি মানুষের ঐকান্তিক স্নেহ-প্রীতি প্রভৃতি প্রকাশে ‘ভালোবাসা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে পশু, বস্তু, পরস্পরের কর্ম প্রভৃতির প্রতি আকর্ষণ বুঝাতে ‘পছন্দ’ শব্দ ব্যবহৃত হয়। ভালোবাসার উৎপত্তি তুলনামূলকভাবে পছন্দের চেয়ে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ বা লালিত্যের ফল। অন্যদিকে পছন্দ মুহূর্তের মধ্যে সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু ভালোবাসা ধীরে ধীরে জাগ্রত হয়। ভালোবাসা বহুলাংশে জন্মগত ও পরিচয়মূলক সম্পর্কের প্রতীতি কিন্তু পছন্দ তাৎক্ষণিক বিষয়ও হতে পারে। পছন্দ বার বার সহজে বদলায়, বদলানো যায় কিন্তু ভালোবাসার বিষয়কে সহজে পরিবর্তন করা যায় না। কিছু কিছু ভালোবাসা কখনও পরিবর্তন করা যায় না। পছন্দ নিবিড় ও হার্দিক গভীরতায় আপ্লুত হলে তা ভালোবাসায় পরিণত হতে পারে। যেমন : ‘ক্রিকেট আমার পছন্দ’ এ বাক্যের সঙ্গে ‘ক্রিকেট আমার ভালোবাসা’ বাক্যের পার্থক্য মূলত নিবিষ্টতার গভীর অনুভবের তারতম্য প্রকাশ করে। একজন মানুষকে পছন্দ করা যায় আবার ভালোবাসাও যায়। ভালোবাসা ও পছন্দ নির্ভর করে পরস্পর স্নেহ

জার্মান ও ফরাসি / ড. মোহাম্মদ আমীন

জার্মান ও ফরাসি জার্মান ও ফরাসি কোনও দেশ বা দেশের নাম নয়। অনেকে জার্মান ও জার্মানি এবং ফরাসি ও ফ্রান্স অভিন্ন মনে করেন । প্রকৃতপক্ষে জার্মানির অধিবাসী ও তাদের ভাষাকে জার্মান বলা হয়। অন্যদিকে ফ্রান্সের অধিবাসী ও তাদের ভাষাকে ফরাসি (বা ফ্রেঞ্চ) বলা হয়। আর একটা বিষয় লক্ষণীয়, ফরাসি আর ফারসি এক নয়। ফারসি হচ্ছে ইরানের ভাষা, যাকে পার্সিয়ানও বলে কিন্তু ফরাসি হচ্ছে ফ্রান্সের নাগরিকদের ভাষা। ফরাসি শুধু ফ্রান্সের নাগরিকদের ভাষাই নয় ফ্রান্স ছাড়াও অনেক দেশের নাগরিক ফরাসি ভাষায় কথা বলেন। প্রাক্তন  ফরাসি উপনিবেশসমূহ তথা  হাইতি, মোনাকো, কঙ্গো, মাদাগাস্কারসহ প্রায় ৩০টি দেশে ফরাসি রাষ্ট্রীয় ভাষা। এমনকি জাতিসংঘের এবং কানাডার ২য় দাপ্তরিক ভাষা ফরাসি। আরও অনেক দেশের নাগরিক ফ্রেন্স বা ফরাসি ভাষায় কথা বলে। অবশ্য তাদের ভাষা ফরাসি হলেও নাগরিকগত্ব বিবেচনায় তারা ফরাসি হিসেব পরিচিত নন।

বাংলা বানান ও বার কাউন্সিলের গণবিজ্ঞপ্তি / ড. মোহাম্মদ আমীন

Image
  বাংলা বানান ও বার কাউন্সিলের গণবিজ্ঞপ্তি উপরের গণবিজ্ঞপ্তির ছবিটি দেখুন। এখানে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ঠিকানা ‘ স্মরণী’ লেখা হয়েছে। ‘স্মরণ’ শব্দের অর্থ স্মৃতি এবং ‘স্মরণিক/ স্মরণিকা’ শব্দের অর্থ স্মৃতিরক্ষাকারী। অন্যদিকে ‘সরণি/সরণী’ শব্দের অর্থ ‘পথ/রাস্তা’। তাই যে অর্থে ব্যবহার করা হোক না কেন,‘স্মরণী’ শব্দটি ভুল। এখানে মূলত ‘পথ/রাস্তা’ অর্থে ‘স্মরণী’ শব্দ লেখা হয়েছে। যা শুধু ভুল নয়, হাস্যকরও বটে। ‘ রাস্তা বা পথ’ অর্থে যে শব্দ ব্যবহার করা হয় সেটি হচ্ছে ‘সরণি’ অবশ্য সরণীও প্রচলিত। যেমন : ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি। ‘সরণী’ লিখলেও প্রচলিত ভুল হিসেবে কিছুটা মেনে নেওয়া যেত কিন্তু ‘স্মরণী’ কীভাবে লেখা হয়েছে তা বোধগম্য নয়।  ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ বানানটাই ভুল। হবে ‘গণবিজ্ঞপ্তি’, লেখা হয়েছে ‘গণ বিজ্ঞপ্তি’। এবার গণবিজ্ঞপ্তির নিচে লেখা মূল বিষয়বস্তু দেখা যায় : দ্বিতীয় লাইনে ‘এতদ্বারা’ ভুল; শুদ্ধ হবে ‘এতদ্দ্বারা(এতদ্‌ + দ্বারা)। বেসরকারী>বেসরকারি, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের> বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের, সিদ্ধান্তর> সিদ্ধান্তের, খ্রিষ্টাব্দে> খ্রিস্টাব্দে, ডিগ্

গানের প্রাণ : ভুঁইয়া সফিকুল ইসলাম / ড. মোহাম্মদ আমীন

গানের প্রাণ গান যদি প্রাণ, সুর যদি নিগুঢ় এবং ছন্দ যদি অনিন্দ্য না হয় তো সে গান প্রাণহীন লাশ। তাই গানকে বলা হয় সৃষ্টির মূল। এ গান হতে শব্দ, শব্দ হতে অক্ষর, অক্ষর হতে জ্ঞান। তাই জ্ঞান আর গান পরস্পর অবিচ্ছেদ্য। যে গানে জীবনকথা নেই সেটি গান নয়, অজ্ঞান। চিরায়ত বাংলা গানে আমাদের এমন অভিজ্ঞতাই দিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান গীতিকবিতা ও চিরায়ত সঙ্গীত ভূবনে খ্যাতিমান প্রশাসক ও কবি ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম এক নতুন প্রবাহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর শ্রদ্ধার প্রতি নিবেদিত ‘বাঙালি জাতির সেরা গর্ব’, দেশপ্রেমের মুগ্ধতায় আপ্লুত ‘হে দেশ আমার গর্ব’, ‘একুশ তুমি’, ‘ভাষার প্রেম কাতর’ ও সাম্প্রতিক নারায়ণগঞ্জের ঘটনা নিয়ে চয়িত ‘জাগো নারায়ণগঞ্জবাসী’সহ প্রত্যেকটা সিডি সংগীত বোদ্ধাগণের মনে তুলে নিপুণ ঝড়, বিপুল স্বর আর বিমুগ্ধ প্রহর। অত্যাধুনিক যান্ত্রিক জগতে বর্তমান প্রজন্ম যখন চটুল গান ও ক্ষণস্থায়ী অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসিয়ে, সে সময় ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম চিরায়ত বাংলা গানের ঐশ্বর্যময় ঐতিহ্যকে আবার সবার সামনে তুলে ধরেছেন অনবদ্য দক্ষতার জাদুময় স্মারকে। তিনি বর্তমানে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব। সচিবের মত

কি কী / ড. মোহাম্মদ আমীন

১. ‘কি’ প্রশ্নবোধক অব্যয়। যে সকল প্রশ্নের ‍উত্তর ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ শব্দের মাধ্যমেও কিংবা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও সন্তোষজনকভাবে দেওয়া যায় সে সকল প্রশ্নবোধক বাক্যে ‘কি’ লিখবেন। যেমন : আমি কি খাবো? (Shall I eat?), আমি কি আসতে পারি স্যার? ২. যে প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ‘ বা ‘না‘ দিয়ে কিংবা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে সন্তোষজনকভাবে দেওয়া সম্ভব নয় সে সকল প্রশ্নবোধক বাক্যে ‘কী’ লিখবেন। যেমন : আমি কী খাবো? (What will I eat?), তুমি কী চাও? (What do you want?), কী করে এতদূর এলে? তোমার বাবা কি সরকারি চাকরি করেন? ৩. ‘কী’ বিস্ময়সূচক পদ। বিস্ময়, অনিশ্চয়তা, অবজ্ঞা, সম্মান গৌরব বা প্রশংসা প্রভৃতি প্রকাশেও ‘কী’ ব্যবহার করা হয়। যেমন, বিস্ময় : কী দারুণ! অনিশ্চয়তা : কী জানি কী হয় না হয়। অবজ্ঞা : সে আবার কীসের গরিব? প্রশংসা : কী ধনী তিনি জানো? ছেলেটি কী সাহসী জানলে তুমি হতবাক হয়ে যাবে। ৪. কোনভাবে, কেন, কী কারণে, কেমন করে, কার মধ্যে, কেমন করে, কী প্রকারের, কেমন প্রভৃতি বুঝালে কী লিখতে হয়। যেমন : কীভাবে যাবে? কীজন্য এসেছ? কীরকম লোক তুমি? কীসে তোমার আগ্রহ? এত তাড়া কীসের? কীরূপ দেখতে সে? কী উপায়ে তোমাকে সাহায্য কর